Wellcome to National Portal
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কিছু অজানা কথা

 

লেঃ কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ, এলডিএমসি, পিএসসি

চেয়ারম্যান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

১৭ আগস্ট ২০১৬ আমার জীবনের স্মরণীয় দিন। ঐ দিন ঢাকা হতে নভোএয়ারে মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, সচিব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ উর্ধ্বতন কমকর্তাবৃন্দ ও আমি সকাল ১১ টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে অবতরণ করি। বিমান বন্দরে কক্সবাজারের মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ ও কক্সবাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যসহ সকলে ফুল দিয়ে বরণ করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমাদেরকে নিয়ে যায়। সম্মেলন কক্ষে দায়িত্ব হস্তান্তরের আয়োজনটি কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তরের দুই ব্যক্তির মধ্যে কাগজে-কলমে দস্তখতের স্বাভাবিক নিয়ম থাকলেও তা হয়নি। যদিও হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যানার যেমন ঠিক ছিলনা তেমনি আসন বিন্যাসেও ছিল সমন্বয়হীন। এটি অভিজ্ঞতার অভাবে কিংবা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত হতে পারে। যেহেতু সেনাবাহিনীতে আমি অনেকদিন প্রটোকল নিয়ে সেনা সদরে দায়িত্ব পালন করেছি তাই আমার দৃষ্টিতে এটি ভিন্নতর মনে হয়েছে।

১৮ আগস্ট ২০১৬ ইং মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় আমাকে কক্সবাজার গণপূর্ত ভবনের রেষ্ট হাউজের একটি রুমে অফিস শুরু করার কথা বলে ১১:৩০ এর ফ্লাইটে ঢাকায় চলে যান। ১৯ ও ২০ আগস্ট আমি গণপূর্তের রেষ্ট হাউসে অবস্থান করিলে আমাকে রুম অন্য নামে বরাদ্দ আছে বলে কক্সবাজার গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান। নাই কোন গাড়ী, নাই কোন জনবল এমনকি একটি রুমও দেয় নাই কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগ। আমি রেষ্ট হাউসের রুম ছেড়ে দিয়ে ঢাকা চলে যাই। বুঝতে বাকি রইল না আমাকেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য চেষ্টা করি। অবশেষে ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার গণভবনে দেখা করার সুযোগ পাই। আমি যাওয়ার সময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জন্য ১২টি মনোগ্রাম (বাংলা ও ইংরেজী) ফ্রন্টলাইন কমিউনিকেশনস্ লিঃ এর মালিক ফেরদৌস আলম মজুমদার কে দিয়ে তৈরী করি। উক্ত মনোগ্রাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করলে তিনি বর্তমানে ব্যবহৃত মনোগ্রামটি নির্বাচন করে দেন। তিনি আমাকে কক্সবাজারের করণীয় বিষয়ের ওপর আধ ঘন্টার অধিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ এবং আধুনিক কক্সবাজার গড়ে তোলার ব্যাপারে অনুপ্রেরণামূলক নিজের মতামত প্রদান করেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সহজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মন্ত্রণালয়ে ফেরত আসি। মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও সচিব মহোদয়কে বিস্তারিত জানাই এবং নির্বাচিত মনোগ্রামটি অনুমোদন গ্রহণের বিষয়ে অবগত করি। এটি ছিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জন্য আমার প্রথম কাজ। তখনও আমার কোন পিয়নও ছিলনা। একাকি কাজগুলো করি। পরের দিন কক্সবাজার চলে যাই। আমার সঙ্গে রিকু, রোস্তম ও সেলিম তিনজনকে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য নিয়ে আসি। রিকু বর্তমানে সহকারী একান্ত সচিব হিসাবে দায়িত্বরত, সেলিম প্রধান অফিস সহকারী হিসাবে এবং রোস্তম বিভিন্ন প্রশাসনিক ও ভূমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে কর্মরত। যদিও তাদেরকে কোন প্রকার টাকা বা সম্মানী ভাতা দেয়া হয় না। তারপর অফিস নাই, গাড়ী নাই, কোন পিয়ন নাই, টাকাও নাই এভাবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তপক্ষের যাত্রা শুরু হয় কক্সবাজার গণপূর্ত অফিসের রেষ্ট হাউসে। ঐদিন রিকুকে নিয়ে আরএফএল এর ছয়টি চেয়ার এবং একটি প্লাস্টিকের টেবিল নিয়ে যাত্রা শুরু। তখনও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস কোথায় হবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।

অবশেষে কক্সবাজার শহরে অফিস এবং গাড়ী ভাড়া নেয়ার অনুমতি পেলাম। অফিস ভাড়া নেয়ার জন্য খুঁজতে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বর্তমান অফিসটি খুঁজে পেলাম। জানতে পারি, ডা. মাহবুব এটি দেখাশুনা করেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই ভবনটি কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় বলে জানান। অবশেষে বিএমএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ডা. ইকবাল আরসানাল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ভবনটি ভাড়া দেয়ার জন্য রাজি হন। তারপর আমি অফিসটি ভাড়া নেয়ার চুক্তিপত্র সম্পাদন করি এবং এ বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে অবগত করি। এভাবে আমাদের বর্তমান অফিস ভবনের ভাড়া নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু।

নবপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান তাই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামক প্রতিষ্ঠান এবং এর সেবা সম্পর্কিত বিষয়াদি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গের সাথে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে। কিন্তু দুর্ভাগ্য: গ্রুপিং দ্বন্ধের কারণে দুপক্ষ একসঙ্গে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন না। যা আমার কাছে সত্যিই গ্রহণযোগ্য ব্যাপার ছিল না, কারণ একটা সরকারি অফিসের ব্যাপারে এ রকম দ্বন্ধ কোনভাবেই কাম্য নয়। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সকলের সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, এখানে দলীয় কিছুই নেই। আমি চাই সকল পক্ষের সার্বিক সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং একটি নতুন পরিকল্পিত কক্সবাজার গড়ে তুলতে। তারা অনেকদিন আমাদের কোন সংবাদ প্রচার না করলেও পরে সবাই এক কাতারে এসে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় কাজে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এ জন্য আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এর মধ্যে ১১ অক্টোবর, ২০১৬ ইং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুস সোবহান সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য বদলীর মাধ্যমে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে যোগদান করেন। তারও কিছুদিন পর ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন, আর্ম ফোর্সেস, সেনা সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পত্র প্রেরণ পূর্বক অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম-ইঞ্জিনিয়ার্স সদস্য (প্রকৌশল) হিসেবে অত্র দপ্তরে যোগদান করেন। আমি প্রিয় সালাম ভাই (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান) কে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অনেক বুঝিয়ে রাজি করে সরওয়ার উদ্দিন আহমদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (ভারপ্রাপ্ত) এবং মো: ইমতিয়াজুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সংযুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনুরোধ করি। অবশেষে আমি এই ০২ জনকেও আমার প্রতিষ্ঠানে সংযুক্তি হিসেবে পাই। যদিও এই ০৪ জনই নিজ নিজ মাতৃ প্রতিষ্ঠান হতে তাদের বেতন ভাতাদি পেয়ে থাকে।

উল্লেখ্য যে, ২৩ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে ইমারত নির্মাণ ও ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মূল কাজ শুরু করি। এই ০৪ জন কর্মকর্তা যোগদানের পর বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, পৌরসভা এবং অন্যান্য সুশীল সমাজের সাথে সমন্বয় পূর্বক সমন্বিত পরিকল্পনা, পরিকল্পিত নগরায়নে বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা সমুহ তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রাখি। তাছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ, প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদ, হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সঙ্গে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইন, পরিকল্পিত নগরায়ন ইত্যাদি বিষয়ে সভা-সেমিনার আয়োজন, সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, পোস্টার ব্যানারের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করি।

মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি ০৫ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম, দৌড়াদৌড়ির পর সর্বশেষ গত ০১ মে, ২০১৭ ইং একজন আর্কিটেক্ট দিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের একটি আধুনিক, মানসম্মত থ্রিডি মডেল প্রস্তুত করতে সক্ষম হই; যা ০২ মে ২০১৭ ইং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করি। ফলশ্রুতিতে আমার পরিশ্রমের প্রথম ফসল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১০ তলা বিশিষ্ট একটি স্বতন্ত্র, আধুনিক ও মানসম্মত অফিস ভবন নির্মাণ অনুমোদন লাভ করে। এক্ষেত্রে আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাছির উদ্দিন। এছাড়া আমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিকট কৃতজ্ঞ তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।

অনেকের অসহযোগিতা ও নানাবিধ সমস্যা নিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যাত্রা শুরু হলেও আবার অনেকের সহযোগিতা ও উৎসাহ আমাদের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম এর লেখা ‘‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ে কিছু ভাবনা’’ এবং সরোয়ার উদ্দিন আহমদ এর লেখা ‘‘পরিকল্পিত কক্সবাজার, স্বপ্নীল কক্সবাজার’’ এর মধ্যে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপরেখা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

কক্সবাজারকে আধুনিকায়ন করতে আমার প্রিয় মানুষ মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব মোহাম্মদ শফিউল আলম মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতার কথা আমি বারবার শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। কোন অবস্থায় আমরা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিবার মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপিকে ভুলতে পারব না। যিনি কক্সবাজারকে নিজের Second Home বলে দাবী করে থাকেন। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য যারা আমাকে এই প্রতিষ্ঠানকে দাড় করানোর জন্য কথা ও কাজে এবং দূরে থেকে সহযোগিতা করছেন বা ভবিষ্যতে করবেন তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অবশেষে আমি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাকে যে অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও নির্দেশনা দিয়েছেন তার জন্য আমি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা, ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বিশ্বের কাছে মানসম্মত দুর্নীতিমুক্ত একটি সহজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন আধুনিক পর্যটন নগরী গড়ার জন্য বদ্ধপরিকর।