গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এমপি বলেছেন, কক্সবাজারকে সাজাতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প জনবলে অনেক কাজ করেছে। সৎ ও দক্ষতার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কউকের অধিক্ষেত্র এখন নির্ধারণ হয়েছে জেনে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে যাতে কউকের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। তিনি গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২.০০টায় কউকের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ এলডিএমসি, পিএসসি কউকের অর্জন, চলমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।
পরে তিনি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রকল্প কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প এবং কক্সবাজার শহরস্থ ঐতিহ্যবাহী লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা পুকুর, শহরের চারটি ভাস্কর্য ও কউক গৃহীত হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাস স্ট্যান্ড) প্রকল্পটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন। এসব প্রকল্পের অগ্রগতিতে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, কউকের সকল প্রকল্প জনবান্ধব ও পরিবেশসম্মত। চলমান ও প্রস্তাবিত সকল প্রকল্প শেষ হলে ওই শহর পর্যটন বান্ধব, আধুনিক ও পরিকল্পিত শহরের যে স্বপ্ন সেটা বাস্তবায়িত হবে। এসময় তিনি কউকের যাবতীয় কাজে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন এবং উক্ত প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এ সময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম এবং সচিব (উপ-সচিব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আনুমানিক দুপুর ২.৩০ ঘটিকায় সময় তিনি সুমদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা দেখতে যান। তিনি এগুলো দেখে খুবই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে কউক, জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার পৌরসভা কর্তৃক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা আমাদের সকলের কর্তব্য। তিনি দ্রুত মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন।