২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখ দুপুর ২.০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপসচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ এর নেতৃত্বে কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগ, জেলা পুলিশ, আনসার এবং বিদ্যুৎ বিভাগ এর সার্বিক সহযোগিতায় কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন সমুদ্র সৈকত আবাসিক এলাকার ব্লক এ এবং ব্লক বি এর মধ্যবর্তী গণপূর্তের মালিকানাধীন মাঠে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় গণপূর্তের মালিকানাধীন মাঠে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ১৫০ টি দোকান ভেঙ্গে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব:) বলেন, কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই জায়গার মালিক কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগ এবং গণপূর্ত বিভাগের নামে বিএস খতিয়ান এবং গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। জনৈক গিয়াস উদ্দিন গং এর ক্ষতিপূরণের টাকা পায় নাই মর্মে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার প্রতিবেদনে দেখা যায়, গিয়াস উদ্দিন গং এর ক্ষতিপূরণ বাবদ সব অর্থ পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ এই মাঠ প্রকল্পের কাজ শুরু করলে গিয়াস উদ্দিন গং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের বিরুদ্ধে Injunction চেয়ে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আবেদন করেন। ৩১-০৫-২০১৯ তারিখ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত তার Injunction আবেদন খারিজ করে দেন। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত গিয়াস উদ্দিন গং মহামান্য হাইকোর্টে Miscellaneous আপীল নং- FMA ৫৯৭/২০১৯ দায়ের করেন এবং এতে গণপূর্তের প্রকল্প কাজের উপর ০৬ (ছয়) মাসের Status Quo দেয়া হয় যা ক্রমাগত মেয়াদ বাড়তে থাকে। অবশেষে গত ২৩-০৮-২০২২ তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত Status Quo Vacate করে দেন এবং একই আদেশে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে চলমান মূল মামলাটি বাতিল করে দেন।
এছাড়া মহামান্য হাইকোর্টের Status Quo Vacate এর ফলে উচ্ছেদ করতে আইনগত কোন বাধা নাই মর্মে Attorney General Office থেকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন হিসেবে গড়ে তুলতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। তাই পরিকল্পিত নগরী বাস্তবায়নে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।