অবশেষে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো । ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব লুৎফুন নাহার এর স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৬৯০.৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ইতোপূর্বে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত মাস্টার প্ল্যানের অধিক্ষেত্র ছিল ৩২২.৩০ বর্গকিলোমিটার।
উক্ত পত্রের মাধ্যমে বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার ১৪৩.১৫ বর্গকিলোমিটার, উখিয়া উপজেলার ৭২.৬১ বর্গকিলোমিটার, রামু উপজেলার ৮৩.৪৯ বর্গকিলোমিটার, কক্সবাজার সদর উপজেলার ১২৫.৫৬ বর্গকিলোমিটার, মহেশখালী উপজেলার ১৭.৬৮ বর্গকিলোমিটার, কুতুবদিয়া উপজেলার ৬৩.০৪ বর্গকিলোমিটার, পেকুয়া উপজেলার ৪৩.২৬ বর্গকিলোমিটার, চকরিয়া উপজেলার ৭১.৮২ বর্গকিলোমিটার, এবং কক্সবাজার সী-বীচ এরিয়ার ৭০.০৬ বর্গকিলোমিটারসহ সর্বমোট ৬৯০.৬৭ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাভূক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর আওতাধীন কক্সবাজার জেলার এলাকাসমূহে ভূমির যৌক্তিক ও আইনসম্মত ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে কউকের অধিক্ষেত্র ৩২২.৩০ বর্গকিলোমিটার থাকলেও বর্তমানে তা ৬৯০.৬৭ বর্গকিলোমিটার বাড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুমোদনক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তাঁর ঐকান্তিক স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৬৯০.৬৭ বর্গকিলোমিটার অধিক্ষেত্র নির্ধারণের সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাঁর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের নিমিত্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত ও আধুনিক কক্সবাজার নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর/সংস্থার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র পুনঃনির্ধারিত হয়েছে, তাই খুব শীঘ্রই মাস্টার প্ল্যানের ডিপিপি অনুমোদন করে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে। ফলে পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়ন করা আরো সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।