Wellcome to National Portal
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ অক্টোবর ২০২২

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিশ্ব বসতি দিবস ২০২২ পালিত


প্রকাশন তারিখ : 2022-10-03

 

০৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ঝাঁকঝমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়েছে বিশ্ব বসতি দিবস। বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজন করে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা। সোমবার সকাল ৯.০০ ঘটিকায় কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য জনাব আশেক উল্লাহ রফিক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জনাব মুজিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক জনাব মো: মামুনুর রশীদ; পুলিশ সুপার জনাব মো: মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম (বার); প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব আবু তাহের চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম; কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগ; নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ এক বর্নাঢ্য র‍্যালী কক্সবাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া সকাল ১০.০০ ঘটিকায় কউক মাল্টিপারপাস হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব:)।

 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য জনাব আশেক উল্লাহ রফিক। তিনি বলেন, কক্সবাজার সাগর পাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে ভূমি ব্যবহার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। জীবন জীবিকা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আমাদের মানুষ ভূমিহীন হচ্ছে। এছাড়াও খাস জমিগুলো সরকারের বিভিন্ন বড় বড় প্রজেক্টের জন্য নেয়া হচ্ছে। দেশের বড় বড় কোম্পানীগুলোও জমি ক্রয় করে নিচ্ছেন। এতে আমরা প্রতিনিয়তই ভূমিহীন হচ্ছি। তাই একটি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলের জন্য বসতি নিশ্চিত করা যেতে পারে।

 

সভাপতির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব:) বলেন, কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে। কক্সবাজারের কোন ভূমি অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা যাবেনা।

 

“বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গিকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি” এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ১.২০ মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ায় এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব জাতীয় গড়ের প্রায় ৩/৪ গুণ। এ কারণে এখানে বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠেছে ও এগুলো বর্ণিত বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে এবং প্রাকৃতিক ইকো-সিস্টেমে একটি বিরাট চাপ সৃষ্টি করছে।

 

একটি টেকসই পদ্ধতিতে সুনীল অর্থনীতি, মৎস এবং ইকো-ট্যুরিজম খাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। কক্সবাজারে রয়েছে এক অপার সম্ভাবনামীয় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজারকে বাংলাদেশ তথা পুরো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা সম্ভব। এজন্য আমাদের দরকার যুগোপযোগী পরিকল্পনা এবং যথাযথ বাস্তবায়ন। ফলশ্রুতিতে এই শহরকেও সিঙ্গাপুরে আদলে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ বিষয়ে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব বসতি দিবসের উদ্দেশ্য পূরণ এবং সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করার একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপসচিব) আবু জাফর রাশেদ এর সঞ্চালনায় উক্ত সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব আবু তাহের চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম; কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমূখ।