Wellcome to National Portal
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মার্চ ২০১৯

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১০ম বোর্ড সভা সম্পন্ন


প্রকাশন তারিখ : 2019-02-19

গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ খ্রি: সকাল ১১টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১০ম বোর্ড সভা কউক সভাকক্ষে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতি জানান যে বিগত ১৬ জানুয়ারী ২০১৮ ইং, ১০ তলা বিশিষ্ট কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অফিস ভবন একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। তিনি অফিস ভবন নির্মানের বর্তমান অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত বিভাগ, কক্সবাজার সহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এছাড়াও তিনি বলেন কক্সবাজার শহরস্থ ঐতিহ্যবাহী লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা পুকুর পুনর্বাসনসহ ভৌত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন লাভ করেছে এবং ই-জিপিতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করা হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ কক্সবাজারের সৌন্দর্য্যবর্ধনে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলামকে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, ইতোপূর্বে কউক কক্সবাজারে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়কে আলোকায়ন প্রকল্প-১ এর আওতায় (দরিয়া নগর হতে হিমছড়ি পর্যন্ত) রাস্তায় ১০০টি লাইট এবং সড়ক আলোকায়ন   প্রকল্প-২ এর আওতায় (কক্সবাজার শহর এলাকা) ৩০০টি লাইট সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যটকদের আর্কষণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে শহরের ০৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাস্কর্য্য নির্মাণ করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে পর্যটকসহ সাধারণ জনগণের মাঝে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। তাই পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন খালি জায়গায় ০১টি এবং মেরিন ড্রাইভ সড়কে আরো ০২টি ভাস্কর্য স্থাপন করতে ইচ্ছুক। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও আকর্ষনীয় পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য একটি কার্যকরী মাষ্টার প্ল্যান প্রনয়নের কাজ দ্রুত শুরু হবে। এছাড়া কক্সবাজারে আবাসন সমস্যা নিরসনকল্পে কউক কর্তৃক কক্সবাজার সদর উপজেলায় “কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আবাসিক ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১” শীর্ষক একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন লাভ করেছে।

এছাড়া সভাপতি জানান যে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য গৃহীত প্রকল্পের মধ্যে হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাসষ্ট্যান্ড) প্রধান সড়ক সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে এবং সুগন্ধা মোড়-সুগন্ধা পয়েন্ট-লাবনী পয়েন্ট সংযোগ সড়ক প্রশস্তকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পটি প্রি-একনেক সভায় উত্থাপনের অপেক্ষা আছে। এছাড়াও (ক) বাঁকখালী নদী সংলগ্ন ১৫০ ফুট প্রশস্ত সবুজ বেস্টনীসহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, (খ) লাইট হাউজ-পাহাড়তলী- শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক প্রশস্তকরণ ইত্যাদি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তাই প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের ফলে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প বিকাশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপস্থিত বোর্ড সদস্য বৃন্দ কউকের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সকলে সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন লে. কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, সদস্য (প্রকৌশল), কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; ড. মো: মনিরুল হুদা, যুগ্মসচিব, গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়; আবু জাফর রাশেদ, সচিব (উপ সচিব) কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; মো: মনিরুজ্জামান, উপসচিব ভূমি মন্ত্রণালয়; ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, উপসচিব পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; মীর মঞ্জুরুর রহমান, উপ-প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য অধিদপ্তর; প্রফেসর আসিফুল হক, বিভাগীয় প্রধান আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং, চুয়েট; জহির উদ্দিন আহমদ, নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ কক্সবাজার; মো: আবদুল মোমিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কক্সবাজার; বাবুল চন্দ্র বণিক, এ.এস.পি (ট্রাফিক) কক্সবাজার; মো: নুরুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী কক্সবাজার পৌরসভা; আবু মোর্শেদ চৌধুরী, সভাপতি কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স; ডা. সাইফুদ্দিন ফরাজি, সদস্য, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এডভোকেট প্রতিভা দাশ প্রমূখ।