Wellcome to National Portal
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd অক্টোবর ২০২৩

কউকের উদ্যোগে নানা আয়োজনে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত


প্রকাশন তারিখ : 2023-10-03

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর উদ্যোগে কক্সবাজারে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব বসতি দিবস। সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে এই উপলক্ষে  কউক ভবন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়।  রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লে-কার্ড নিয়ে নানান শ্রেণী-পেশার মানুষ র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। 

 

পরে কউকের উদ্যোগে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কউক ভবনের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কউক চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার (অব.)।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান বলেন, “এবারের প্রতিপাদ্য  “স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমুহই চালিকা শক্তি” কে সামনে রেখে কউক তার আগামীদিনের কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করছে। কক্সবাজারকে সবার জন্য বাসযোগ্য করতে কউক ইতিমধ্যেই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ শুরু করছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে আমাদের পরিকল্পিত নগরায়ন ও টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।“

 

সমাজের  সুবিধা  বঞ্চিত  মানুষগুলোকে  উন্নয়নের  মূল  ধারায়  নিয়ে  আসার  জন্য  সরকারের গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, " আশ্রয়ণ  প্রকল্পের  মাধ্যমে  ১৯৯৭ থেকে  এ  পর্যন্ত  শুধুমাত্র  ব্যারাক,  ফ্ল্যাট,  বিভিন্ন  প্রকার  ঘর  ও  মুজিববর্ষের  একক  গৃহে  মোট  ৫ লক্ষ  ৭ হাজার  ২৪৪টি  ভূমিহীন  ও  গৃহহীন  পরিবারকে  পুনর্বাসন  করা  হয়েছে। শিক্ষা,  স্বাস্থ্য  ও  কর্মসংস্থানের  সুযোগ  তৈরি  করার  মাধ্যমে  তাদেরকে  অর্থনৈতিক  উন্নয়নের  মূল  ধারায়  অন্তর্ভুক্ত  করা  হয়েছে। একটি  গৃহ  কীভাবে  সামগ্রিক  পারিবারিক  কল্যাণে  এবং  সামাজিক  উন্নয়নের  প্রধান  হাতিয়ার  হতে  পারে  তার  অনন্য  দৃষ্টান্ত  ‘আশ্রয়ণ  প্রকল্প’।  অন্তর্ভুক্তিমূলক  উন্নয়ন  তথা  দারিদ্র্য  বিমোচনের  এই  নতুন  পদ্ধতি  ইতোমধ্যে  ‘শেখ  হাসিনা  মডেল’  হিসাবে  পরিচিতি  পেয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার সংকল্প নিয়ে দেশ জুড়ে সকলের জন্য নিরাপদ আবাসন ও উন্নত শহর তৈরিতে নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্প, এলাকাভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, ড্যাপ, ডেল্টা প্লান ইত্যাদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার আধুনিক ও পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই নগর গড়ে তোলার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রয়োজন বেসরকারি উদ্যোগ ও সর্বসাধারণের অংশগ্রহণ। তাহলেই কেবল টেকসই নগরায়নের সুফল পৌছে দেয়া যাবে জনসাধারণের দোরগোড়ায়।"

 

সভায় কী-নোট উপস্থাপন করেন কউকের উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ তানভীর হাসান রেজাউল ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার) এর নগরপরিকল্পনাবিদ মোঃ সুলতান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সোলাইমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান। এ সময় কউকের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, কউক সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) মোঃ আবুল হাসেম,  কউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, ইউএনডিপি ও অ্যাকশনএইডের স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা  উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত সংবাদ