Wellcome to National Portal
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ এপ্রিল ২০১৯

কক্সবাজারকে নিয়ে কউক পরিকল্পনা

০১। ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন। কক্সবাজার সমুদ্র ও পাহাড় বেষ্টিত শহর হিসেবে বড়ছড়া, হিমছড়ি এলাকায় বন বিভাগের জায়গায় রাঙ্গুনিয়া শেখ রাসেল ইকো-ট্যুরিজম পার্কের আদলে কক্সবাজারে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন করা।

০২। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কক্সবাজার শহরে আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা সম্বলিত শিশুপার্ক স্থাপন করা।

০৩। কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীর শাসন, দখল ও দূষণমুক্তকরণ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি নদী তীরে পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবুজ বেস্টনী গড়ে তোলা।

০৪। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার উন্নয়ন।

০৫। সরকারি-বেসরকারী উদ্যোগে ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার আদলে আধুনিক প্রযুক্তিগত আন্তর্জাতিক মানের মেরিন বীচ ও সামুদ্রিক প্রাণী এ্যাকুরিয়াম স্থাপন এবং গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।

০৬। হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় সরকারি-বেসরকারী উদ্যোগে সুইমিং পুল স্থাপন করা।

০৭। পর্যটকদের জন্য হোটেল-মোটেল রেস্তোরা, পিকনিক স্পট, রেন্ট-এ কার, অভিজ্ঞ পর্যটন গাইড ইত্যাদি ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা ইউনিট গঠন করা।

০৮। সরকারি-বেসরকারী উদ্যোগে খেলাধুলার উন্নয়নে কক্সবাজার কলাতলী, হিমছড়ি ও নিকটবর্তী পাহাড়ী এলাকায় গল্্ফ মাঠ, টেনিস মাঠ নির্মাণ করা।

০৯। কক্সবাজার হতে মহেশখালী, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া ইত্যাদি এলাকায় ভ্রমণ ও যাতায়াতের সুবিধার্থে কস্তুরাঘাট, ৬নং ঘাট অথবা সুবিধাজনক স্থানে জেটিঘাট নির্মাণ করা।

১০। পর্যটন ও জনসাধারণের সময় সচেতনতার জন্য কক্সবাজার শহরে অপেক্ষাকৃত দৃশ্যমান স্থানে বিশাল আকৃতির ঘড়ি স্থাপন।

১১। পর্যটন খাতকে আরো গতিশীল করার জন্য কক্সবাজারের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক দর্শনীয় স্থান, পিকনিক স্পট, বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব সময় ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক বিভিন্ন হোটেলে ব্যানার, ফেস্টুন টাঙ্গানো বাধ্যতামুলক করা এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১২। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধার্থে সমুদ্র সৈকতে ঞরফব (জোয়ার) এবং ঊনন-ঞরফব (জোয়ার-ভাটা) এ স্থায়ীভাবে সী-নেটিং ব্যবস্থা চালু করা। যার ফলে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের সমুদ্র বিনোদনের সময় যেকোন দুর্ঘটনায় চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়া রোধ করবে এবং দ্রুত উদ্ধারে সহজতর হবে।

১৩। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও রাস্তার উভয় পাশের্^ শোভাবর্ধনমূলক সবুজ বেস্টনী স্থাপন করা।

১৪। যেহেতু কক্সবাজার বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সেহেতু আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত লাইফ গার্ড ইউনিট গঠন করায়

১৫। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এর পর্যটন বান্ধব প্রচারণা। সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে কক্সবাজারের উন্নয়নমূখী ও পর্যটন বান্ধব সুবিধা সম্বলিত তথ্যাবলী প্রচার করা।

১৬। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের যাত্রীসেবার মান বাড়ানো এবং ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। প্রয়োজনে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য বিশেষ পর্যটক গাইডের মাধ্যমে নিরাপদ যাতায়াত, ভ্রমণ ও বিনোদন নিশ্চিত করা।

১৭। সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন যাতায়াতের জন্য নৌ-যানের ব্যবস্থা করা।

১৮। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চট্টগ্রাম-আনোয়ার-বাঁশখালী-টইটং-গোমাতলী-চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল হয়ে কক্সবাজার শহরের বদর মোকাম পর্যন্ত উপকুলীয় আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

১৯। পর্যটক ও নগরবাসীদের বিনোদনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে Recreation Club স্থাপন করা।

২০। সর্বোপরি মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী আধুনিক নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।